বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, জনগণের টাকা হাতিয়ে নিতেই নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ব্যাংকিং, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতের হরিলুট করতে গিয়ে একের পর এক ব্যাংক ফাঁকা করে ফেলছে সরকার।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশে এখন ৫৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ব্যাংক নানা অনিয়ম, জালিয়াতি লুটপাট ও খেলাপি ঋণের কারণে আর্থিক সংকটে রয়েছে। বাকিগুলো নানা সমস্যার ভারে জর্জরিত। সরকারের শীর্ষপর্যায়ের নেতা ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এ অবস্থার জন্য দায়ী।’
‘এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আরো তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, দেশের অর্থনীতির যে পরিসর, তাতে করে চলমান ব্যাংকগুলোই অতিরিক্ত। এর ওপর নতুন ব্যাংকের ঘোষণা মূলত জনগণের টাকা হাতিয়ে নেওয়ারই উদ্যোগ।’
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক বর্তমান ভোটারবিহীন এই সরকার। অথচ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার পক্ষের বিরোধী দল ও মতের মানুষদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারগুলোকে ভরে ফেলা হচ্ছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বন্ধুহীন হয়ে পড়ে এখন আবোলতাবোল বলছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।
Comments
Post a Comment